১১ দফা দাবিতে ঢাকায় বড় সমাবেশ করবে শ্রমিক দল
বক্তব্য দেবেন তারেক রহমান * শ্রমিকদের মহাজাগরণ ঘটবে : শিমুল বিশ্বাস

- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজধানীতে এগারো দফা দাবিতে বড় সমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমাবেশ করার কথা রয়েছে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ জানানো হবে। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী জেলা, মহানগর, বিভাগীয় পর্যায় ও বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। সমাবেশ সফল করতে দফায় দফায় বৈঠক করছে শ্রমিক দল ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো। শ্রমিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবিগুলো নিয়ে এই সমাবেশ সংগঠনগুলোকে চাঙা করে তুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে সমাবেশের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। একটা বড় ধরনের শোডাউনের পরিকল্পনা আছে আমাদের। দেশের ইতিহাসে শ্রমিকদের একটা মহাজাগরণ ঘটতে যাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদসহ অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলো এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে। আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, লুটেরা শ্রেণির হাত থেকে শ্রমিক-মজুর তথা দেশকে রক্ষার জন্য এই আয়োজন। সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় কমিটিগুলো মিটিং করেছে। ২১টি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গেও প্রস্তুতি সভা হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকবে।’
শ্রমিক দলের আরও কয়েকজন নেতা জানান, সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটাতে চাইছেন তারা। মূলত ঢাকার শ্রমজীবী মানুষকে টার্গেট করে সমাবেশ করার পরিকল্পনা থাকলেও ঢাকার আশপাশে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জসহ সারা দেশ থেকেও নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। ঢাকার বিভিন্ন সেক্টরের বাইরে অসংগঠিত বিভিন্ন শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে সংগঠিত করার পরিকল্পনা থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভেন্যু চূড়ান্ত না হলেও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের স্থান ধরে প্রস্তুতি চলছে। এখন পর্যন্ত ১১ দফা দাবি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর কমবেশি হতে পারে।
দাবিগুলো হলো-শ্রমিক হত্যার বিচার ও শ্রমিক নির্যাতন বন্ধ করা; শিল্পকারখানায় আউটসোর্সিং বন্ধ করে স্থায়ী পদ সৃষ্টি; বন্ধ শিল্প চালু করা ও নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তোলা; জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ; বৈষম্যহীন জাতীয় পে-স্কেল ও মজুরি হার ঘোষণা করা; জরুরি পরিষেবা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল; নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা, মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা নিশ্চিত করা; অবাধ ও গণতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত; সব প্রতিষ্ঠানে ডে-কেয়ার সেন্টার চালু এবং খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো। সমাবেশের বিষয়ে শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘শ্রমিক সংগঠনগুলো নিয়ে বড় সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। সেপ্টেম্বর মাসে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক বৈঠক হয়েছে। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নগুলো বৈঠক করেছে। সবার একটাই লক্ষ্য-শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে সমাবেশের ভেন্যু ঠিক করা হবে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে সমাবেশ করার কথা রয়েছে। এতে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষকে উপস্থিতি নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি।’