ঢাকা ১২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিন্দু বাঙালির প্রধান ধর্মীয় উৎসব,

রাজশাহী নগরীতে শারদীয় দুর্গোৎসব, চলছে নবমী আগামীকাল দশমী।

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী নগরীর প্রতিটি মন্দির লোকে লোকারণ্য কারণ বুধবার (০১) অক্টোবর নবমী, দুর্গাপূজার গুরুত্বপুর্ন দিন। প্রতিটি পূজা মণ্ডপ স্বপরিবারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাজশাহীর প্রতিটি পূজা মণ্ডপ পরির্দশন শেষে দেখা যায় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাঙ্গালী হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

দুর্গাপূজার আদ্যপান্ত জানতে ফিরে দেখা যাক কিভাবে দুর্গাপূজা শুরু হয়,এই বাংলায়?

বাংলায় দুর্গা পূজার ইতিহাস পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক উভয় ধারায় বিস্তৃত, যার মূল ভিত্তি হলো দেবীর মহিষাসুর বধ এবং অকালবোধন-এর পৌরাণিক আখ্যান, যা দেবীকে মহালয়ার সময় করে। ঐতিহাসিক দিক থেকে, সুরথ ও সমাধি বৈশ্য সর্বপ্রথম এই পূজা করেন বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে, যদিও বাংলায় প্রথম দুর্গাপূজার সূচনা হয় সম্ভবত ১৬১০ সালের কাছাকাছি সময়ে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার-এর হাত ধরে। পরবর্তীকালে শোভাবাজার রাজবাড়ির নবকৃষ্ণ দেব-এর হাত ধরে এটি আরও জনপ্রিয়তা পায় এবং কংসনারায়ণ-এর হাত ধরে তা জমিদারদের মধ্যে ব্যাপক প্রচলন লাভ করে, যা বর্তমানে বাঙালিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
পৌরাণিক উৎস:
মহিষাসুর বধ: দুর্গা পূজা মূলত দেবী দুর্গার মহিষাসুরকে বধ করার স্মরণে পালিত হয়, যা হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী।
অকালবোধন: পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী দুর্গাকে অসময়ে অর্থাৎ শরৎকালে পূজা করার প্রথা শুরু হয়, যখন রামচন্দ্র লঙ্কায় যাওয়ার আগে দেবীর আবাহন করেছিলেন। এই কারণে শারদোৎসব-এর সূচনা হয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও প্রচলন:
প্রথম দুর্গাপূজা: কিংবদন্তি অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের গড় জঙ্গলে মেধস মুনির আশ্রম-এ রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য সর্বপ্রথম দুর্গা পূজা করেছিলেন।
বাংলায় প্রচলন: বাংলাদেশে দুর্গা পূজার প্রচলনের পেছনে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার ও কংসনারায়ণের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে আসে। সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার ১৬১০ সালের কাছাকাছি সময় থেকে এই পূজা শুরু করে বলে জানা যায়।
শোভাবাজার রাজবাড়ির ভূমিকা: কলকাতায় পারিবারিক দুর্গাপূজার প্রচলন করেন শোভাবাজার রাজবাড়ির রাজা নবকৃষ্ণ দেব, যা একে আরও জনপ্রিয় করে তোলে।
গুরুত্ব:
আঞ্চলিক উৎসব: দুর্গা পূজা বাঙালি হিন্দুদের প্রধান উৎসব হলেও, ভারতের অন্যান্য অংশেও এটি বিভিন্ন নামে পালিত হয়, যা এর সাংস্কৃতিক গুরুত্ব তুলে ধরে।
UNESCO স্বীকৃতি: ২০১৬ সালে কলকাতা দুর্গা পূজাকে UNESCO একটি অস্পষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে, যা এর বিশ্বব্যাপী তাৎপর্যকে তুলে ধরেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হিন্দু বাঙালির প্রধান ধর্মীয় উৎসব,

রাজশাহী নগরীতে শারদীয় দুর্গোৎসব, চলছে নবমী আগামীকাল দশমী।

আপডেট সময় : ১০:৫৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী নগরীর প্রতিটি মন্দির লোকে লোকারণ্য কারণ বুধবার (০১) অক্টোবর নবমী, দুর্গাপূজার গুরুত্বপুর্ন দিন। প্রতিটি পূজা মণ্ডপ স্বপরিবারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাজশাহীর প্রতিটি পূজা মণ্ডপ পরির্দশন শেষে দেখা যায় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও মনোরম পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাঙ্গালী হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

দুর্গাপূজার আদ্যপান্ত জানতে ফিরে দেখা যাক কিভাবে দুর্গাপূজা শুরু হয়,এই বাংলায়?

বাংলায় দুর্গা পূজার ইতিহাস পৌরাণিক ও ঐতিহাসিক উভয় ধারায় বিস্তৃত, যার মূল ভিত্তি হলো দেবীর মহিষাসুর বধ এবং অকালবোধন-এর পৌরাণিক আখ্যান, যা দেবীকে মহালয়ার সময় করে। ঐতিহাসিক দিক থেকে, সুরথ ও সমাধি বৈশ্য সর্বপ্রথম এই পূজা করেন বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে, যদিও বাংলায় প্রথম দুর্গাপূজার সূচনা হয় সম্ভবত ১৬১০ সালের কাছাকাছি সময়ে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার-এর হাত ধরে। পরবর্তীকালে শোভাবাজার রাজবাড়ির নবকৃষ্ণ দেব-এর হাত ধরে এটি আরও জনপ্রিয়তা পায় এবং কংসনারায়ণ-এর হাত ধরে তা জমিদারদের মধ্যে ব্যাপক প্রচলন লাভ করে, যা বর্তমানে বাঙালিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।
পৌরাণিক উৎস:
মহিষাসুর বধ: দুর্গা পূজা মূলত দেবী দুর্গার মহিষাসুরকে বধ করার স্মরণে পালিত হয়, যা হিন্দুধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনী।
অকালবোধন: পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবী দুর্গাকে অসময়ে অর্থাৎ শরৎকালে পূজা করার প্রথা শুরু হয়, যখন রামচন্দ্র লঙ্কায় যাওয়ার আগে দেবীর আবাহন করেছিলেন। এই কারণে শারদোৎসব-এর সূচনা হয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও প্রচলন:
প্রথম দুর্গাপূজা: কিংবদন্তি অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গের গড় জঙ্গলে মেধস মুনির আশ্রম-এ রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য সর্বপ্রথম দুর্গা পূজা করেছিলেন।
বাংলায় প্রচলন: বাংলাদেশে দুর্গা পূজার প্রচলনের পেছনে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার ও কংসনারায়ণের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে আসে। সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার ১৬১০ সালের কাছাকাছি সময় থেকে এই পূজা শুরু করে বলে জানা যায়।
শোভাবাজার রাজবাড়ির ভূমিকা: কলকাতায় পারিবারিক দুর্গাপূজার প্রচলন করেন শোভাবাজার রাজবাড়ির রাজা নবকৃষ্ণ দেব, যা একে আরও জনপ্রিয় করে তোলে।
গুরুত্ব:
আঞ্চলিক উৎসব: দুর্গা পূজা বাঙালি হিন্দুদের প্রধান উৎসব হলেও, ভারতের অন্যান্য অংশেও এটি বিভিন্ন নামে পালিত হয়, যা এর সাংস্কৃতিক গুরুত্ব তুলে ধরে।
UNESCO স্বীকৃতি: ২০১৬ সালে কলকাতা দুর্গা পূজাকে UNESCO একটি অস্পষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে, যা এর বিশ্বব্যাপী তাৎপর্যকে তুলে ধরেছে।