কাজ সমাজে মানুষের কদর বৃদ্ধি করেন।
রাজশাহী নগরীতে ‘ ব্লুমিং রোজ কিচেন’ শিক্ষিত বেকারদের জন্য অনুস্মরনীয়।

- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী ব্যুরো:
উত্তরবঙ্গের রাজধানী রাজশাহী যা শিক্ষা নগরী হিসেবেও পরিচিত।এখানে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যা অন্য বিভাগ বা জেলায় আছে।সারাদেশে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যার শিক্ষিত বেকার বের হচ্ছে। সবারই চিন্তা ভাবনা শিক্ষা জীবন শেষে একটি সরকারী চাকুরীর কিন্ত আমাদের দেশের সবাইকে চাকুরী দেওয়ার সক্ষমতা সরকারী- বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর নেই।
নাদিম আহম্মেদ সিজার, পিতা মৃত নুরুল ইসলাম বিএ পাশ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্ম জীবন শুরু করেন। বেতন ভাতা খারাপ পেতেন না প্রায় ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা। তারপর তিনটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেও ভাল লাগেনি । কোথায় যেন একটা ঘাটতি থেকে যায়।
স্বাধীনচেতা সিজার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে মিনি থাই রেস্টুরেন্ট করেছেন কালেক্টরেট মাঠের উত্তরে সরকারী রাস্তার পাশে, এখানে স্বল্প মূল্যে গরম গরম থাই, চাইনিজ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার খেয়ে দেখা যায় চমৎকার স্মার্ট পরিবেশনা।তাকে সাহায্য করছেন তার স্ত্রী ।তার স্ত্রী এলএলবি কমপ্লিট করে এডভোকেট পরীক্ষায় পাশ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের ৫/৬ বছরের ফুটফুটে একটি ছেলে আছে। স্বামী – স্ত্রী ও সন্তান মিলে গড়ে তুলেছেন ‘ ব্লুমিং রোজ কিচেন’ এটা যেন একটি ব্যবসায়িক পরিবারের মিলন মেলা ।
যেদেশে “পাছে লোকে কিছু বলে” এই টাইপের লোক বর্তমানেও অধিক সংখ্যক বিদ্যমান। সেখানে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে স্মার্টলি ব্যবসা করে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন কোন কাজই ছোট না। আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার রয়েছেন ” নাদিম আহম্মেদ সিজার” তাঁদের কাছে নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হবেন।কাজ এর কোন ছোট – বড় নেই, কারনেই পজেটিভ মানসিকতার বেকারদের জীবন যাপনে কোন অসুবিধা হয় না।তারা যেভাবেই হোক ইজ্জতের ভয়ে ইজ্জত নষ্ট করার পত্র নন ।অপর দিকে নেগেটিভ মানসিকতার অনেক শিক্ষিত বেকার আছেন। এটা করা যাবে না,ওটা করা যাবেনা টাইপের।তারা শেষ পর্যন্ত বেকারই থেকে যায়।